Header Ads

Header ADS

পৃথিবীতে করোনার চেয়েও অতি ভয়াবহ ও মারাত্মক একটি ভাইরাস রয়েছে..



পৃথিবীতে করোনার চেয়েও অতি ভয়াবহ ও মারাত্মক একটি ভাইরাস রয়েছে, ২০১৯ সালে সেই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলো প্রায় ৮২ কোটি মানুষ এবং তাদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছে প্রায় ৯০ লাখ । 

প্রতিদিন গড়ে এই অনেক মানুষের মধ্যে অজানা এই ভাইরাসে মারা যায় প্রায় ২৫ হাজার মানব সন্তান । এই ভাইরাসটির সামনে করোনা বা কোভিড-১৯ তো সদ্যজাত শিশু মাত্র । কারন করোনাতে তিন মাসে মৃত্যুবরণ করেছে মাত্র বিশ হাজারের বেশি কিছু মানুষ । নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে হচ্ছে সেই ভাইরাসটির নাম কি ? এই ভাইরাসটি সম্পর্কে আমরা কম বেশি সবাই জানি এবং শুনেছি । সেই ভাইরাসটির নাম হলো ক্ষুধা ! আপনি ভুল পড়ছেন না । সত্যি ভাইরাসটির নাম ক্ষুধা । সাজানো, চাকচিক্য ভরা মায়াবি এই পৃথিবীতে প্রতি পাঁচ সেকেন্ডে একজন শিশু এবং প্রতি তিন সেকেন্ডে প্রায় দুই জন মানুষ ক্ষুধার যন্ত্রণায় মৃত্যুবরণ করে । প্রতিদিন প্রায় সাড়ে আট হাজার মানব শিশু ক্ষুধার্থ হয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে । ক্ষুধা নামক ভাইরাসটির প্রতিষেধক বিশ্ববাসী অনেক আগে থেকেই জানে । যার জন্যে আলাদা করে গবেষক, গবেষণাগার ও গবেষণার প্রয়োজন নেই । ক্ষুধা নামক এই মহামারীর প্রতিষেধক হলো খাদ্য । অনেকেরই ধারণা দারিদ্রতার কারনে ‘ক্ষুধা’ নামক শব্দটির জন্ম । ক্ষুধা যে কেবল দারিদ্রতার কারনেই হয় সেটিও সত্য নয় । ক্ষুধা হতে পাড়ে খাদ্য অব্যবস্থাপনার জন্য, অপচয়ের জন্য, যুদ্ধ বা মহামারীর জন্য । পরিশ্রম কি মানুষকে ক্ষুধা থেকে মুক্তি দিতে পাড়ে ? আফ্রিকান এক নারী আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘পরিশ্রম যদি দারিদ্রতা দূর করতে সক্ষম হতো, তবে আফ্রিকান নারীরা হতো বিশ্বে শ্রেষ্ঠ ধনী নারী’ । পূর্বের তথ্যসমূহের মধ্যে বেশ কিছু তথ্য খাদ্য ও কৃষি সংস্থা ফাও (FAO) এর । যার সদর দফতর আবার করোনা বিধ্বস্ত দেশ ইতালির রোমে । দেশটিকে এখন করোনার মৃত্যুপুরী বললেও ভুল হবে না । করোনা নিয়ে সারা বিশ্বময় কতো মাতামাতি কিন্তু ক্ষুধা নামক এই মহামারীর কারনে মৃত্যুর প্রহর গুণতে থাকা সেই মানুষগুলোর খবর কে-ই বা রাখে ? যে মহামারীর প্রতিরোধ, প্রতিকার সবকিছুই সবার জানা ।
উন্নত দেশগুলো একটু সদয় দৃষ্টি দিলেই প্রচারের বাইরে থাকা এই মহামারী পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিবে।

No comments

Theme images by Radius Images. Powered by Blogger.